New Sim Card Rules: ১ অক্টোবর থেকে SIM কার্ড কেনার ক্ষেত্রে চালু হতে চলেছে নতুন নিয়ম, যা জানা দরকার...

 যাঁরা নতুন সিম কেনার পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের এই নতুন নিয়মগুলি জানা এবং বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷




সিম কার্ড কেনার পদ্ধতিতে বড়সড় বদল আনল ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশনস। যার ফলে Airtel, Reliance Jio, BSNL এবং Vodafone-Idea (Vi)-র মতো শীর্ষস্থানীয় টেলিকম প্রোভাইডারের থেকে সিম কেনা গ্রাহকদের জন্য আরও সহজ এবং নিরাপদ হয়ে উঠবে। আসলে নতুন এই নিয়মের জেরে সিম কেনার পদ্ধতি পুরোপুরিভাবে পেপারলেস হয়ে যাবে। এটা ভারতীয়দের জন্য আরও সুবিধাজনক হয়ে উঠবে।

স্টোরে যেতে হবে না: নতুন যে নিয়ম আনা হয়েছে, তাতে এখন থেকেসিম কেনার জন্য আর টেলিকম কোম্পানির অফিসে যেতে হবে না গ্রাহকদের। এমনকী অপারেটর পরিবর্তন করার জন্যও ছুটতে হবে না স্টোরে। আসলে এখন থেকে সিম কিনতে চাইলে কিংবা পোর্ট করতে চাইলে অনলাইনেই ভেরিফাই করা যাবে ডকুমেন্টস।


ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশনস-এর ঘোষণা:এক্স হ্যান্ডলের মাধ্যমে নয়া নিয়মের কথা ঘোষণা করেছে ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশনস। কীভাবে এই বদল প্রতারণা রুখবে আর গোটা পদ্ধতিটাকে সহজ করে তুলবে, সেটাই তুলে ধরেছে তারা। মূলত ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য যাতে চুরি না হয়, তার জন্যই এই পদক্ষেপ। এটা আসলে সরকারের ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগ।


e-KYC এবং Self KYC চালু: ডিপার্টমেন্ট অফ টেলিকমিউনিকেশনস-এর চালু করা বদলের মধ্য অন্যতম হল e-KYC বা ইলেকট্রনিক কেওয়াইসি এবং Self-KYC। স্টোরে না গিয়েই গ্রাহকরা ভেরিফিকেশন প্রসেস সম্পূর্ণ করতে পারবেন।

এর মধ্যে অন্যতম হল: ১. প্রিপেড থেকে পোস্টপেড কিংবা পোস্টপেড থেকে প্রি-পেডে যাওয়ার পদ্ধতি একটি ওটিপি ভেরিফিকেশন প্রসেসের মাধ্যমে অনলাইনেই সম্পন্ন হবে।


২. নতুন সিম কার্ড কেনার গোটা পদ্ধতি ডিজিটাল ভাবেই সম্পন্ন করা সম্ভব। এর জন্য নিজের ডকুমেন্টের ফটোকপি শেয়ার করতে হবে না।

ভুয়ো সিম ঠেকাতে: ১. ডিজিটাল ব্যবস্থার কারণে গ্রাহকদের ডকুমেন্টের অপব্যবহার রুখে দেওয়া যাবে।

২. পেপারলেস সিস্টেমের জেরে ভুয়ো সিম কার্ডের বিষয়টাকেও প্রতিরোধ করা সম্ভব। যা প্রতারণার ঝুঁকি কমাবে।

e-KYC এবং Self KYC কীভাবে কাজ করে? ডিজিটাল ভেরিফিকেশনের জন্য ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র নিজেদের আধার কার্ড ব্যবহার করে একটি সিম কার্ড কিনতে হবে। টেলিকম অপারেটররা ব্যবহারকারীর আধার তথ্য ভেরিফাই করবে পেপারলেস পদ্ধতির মাধ্যমেই। যার মূল্য পড়বে মাত্র ১ টাকা (জিএসটি-সহ)।


Post a Comment

Previous Post Next Post